IgE (ইমিউনোগ্লোবুলিন E) টেস্টের ফলাফল যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে করণীয়

আপনার IgE (ইমিউনোগ্লোবুলিন E) টেস্টের ফলাফল যদি 235 IU/mL হয়, তবে এটি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। IgE সাধারণত শরীরে এলার্জি সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত, এবং উচ্চ মাত্রা ইঙ্গিত করতে পারে যে আপনি কিছু ধরণের এলার্জি বা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকিতে আছেন।

করণীয়:

  1. এলার্জি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: প্রথমত, একজন এলার্জি বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তারা এই টেস্টের ফলাফল দেখে আপনার এলার্জির প্রকৃতি এবং সম্ভাব্য কারণগুলো নির্ধারণ করতে পারবেন।
  2. এলার্জি পরীক্ষা: আপনার IgE উচ্চ হওয়ার কারণ নির্ধারণ করতে এলার্জি টেস্ট করার প্রয়োজন হতে পারে, যেমন স্কিন প্রিক টেস্ট বা রক্তের মাধ্যমে এলার্জি নির্ণয় করা।
  3. এলার্জেন পরিহার: যদি আপনার এলার্জির কারণগুলো সনাক্ত করা যায়, তবে সেই বিশেষ উপাদানগুলো এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
  4. চিকিৎসা: যদি আপনি এলার্জির উপসর্গ যেমন চুলকানি, র‍্যাশ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি অনুভব করেন, তবে ডাক্তার আপনাকে অ্যান্টিহিস্টামিন, কোর্টিকোস্টেরয়েড, বা অন্য কোন ওষুধ দিতে পারেন।
  5. জীবনযাত্রার পরিবর্তন: ঘরের ধুলো, পশুর লোম, পরাগকণা ইত্যাদি সাধারণ এলার্জেনগুলো এড়িয়ে চলার জন্য ঘন ঘন ঘর পরিষ্কার রাখা এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

শেষ কথা:

IgE মাত্রা বৃদ্ধির কারণ নির্ভর করে একাধিক কারণের উপর, যেমন খাদ্য এলার্জি, পরিবেশগত এলার্জি বা অন্যান্য প্রতিরোধগত সমস্যার উপর। সঠিকভাবে চিকিৎসা ও পরীক্ষার মাধ্যমে এলার্জির উৎস এবং প্রতিরোধের উপায় নির্ধারণ করা যাবে।

About Mahmud

Check Also

অনিয়মিত পিরিয়ড কেন হয় ? অনিয়মিত মাসিক এর কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

অনিয়মিত ঋতুস্রাব একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। এর ফলে মাসিক চক্রের সময় …

Leave a Reply