শিশুর জ্বর হলে সিরাপ না সাপোজিটরি, কোনটি দেওয়া উচিত এই প্রশ্ন অনেক বাবা-মার মনে হয়। আসলে কোনটি দেওয়া উচিত তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন:
- শিশুর বয়স: ছোট শিশুদের জন্য সাপোজিটরি দেওয়া সহজ হতে পারে, বিশেষ করে যারা ওষুধ খেতে চায় না।
- জ্বরের তীব্রতা: যদি জ্বর খুব বেশি হয় এবং সিরাপ দিয়ে তা কম না হয় তাহলে সাপোজিটরি দেওয়া যেতে পারে।
- শিশুর অবস্থা: যদি শিশু বমি করছে বা ওষুধ খেতে অসুবিধা হয় তাহলে সাপোজিটরি দেওয়া ভালো।
- ডাক্তারের পরামর্শ: সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নেন। ডাক্তার আপনার শিশুর অবস্থা অনুযায়ী সঠিক ওষুধ এবং ডোজ নির্ধারণ করে দেবেন।
সিরাপ ও সাপোজিটরির সুবিধা ও অসুবিধা
- সিরাপ:
- সুবিধা: দিতে সহজ, শিশু সহজে গ্রহণ করে।
- অসুবিধা: যদি শিশু বমি করে তাহলে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
- সাপোজিটরি:
- সুবিধা: বমি করলেও কার্যকর, শিশুকে ওষুধ খাওয়ানোর ঝামেলা হয় না।
- অসুবিধা: দিতে অস্বস্তিকর হতে পারে, সব শিশুই সহজে গ্রহণ করে না।
শিশুর জ্বর হলে আরো কিছু করণীয়
- জ্বর মাপুন: নিয়মিত জ্বর মাপুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বর কমানোর ওষুধ দিন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ান: জ্বরের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে। তাই শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ান।
- হালকা পোশাক পরান: শিশুকে হালকা পোশাক পরান যাতে তাপমাত্রা কমতে সাহায্য করে।
- স্পঞ্জ করান: কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শিশুর শরীর মুছিয়ে দিন। এতে শরীরের তাপমাত্রা কমতে সাহায্য করবে।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি জ্বর দীর্ঘদিন ধরে থাকে বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন: শিশুর জ্বর একটি গুরুতর বিষয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ দেবেন না।
আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।