তলপেটে ব্যথা হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এটি কখনো কখনো মৃদু হয় আবার কখনো কখনো তীব্র হয়। ব্যথার প্রকৃতি, স্থান, এবং অন্যান্য উপসর্গের উপর নির্ভর করে কারণ নির্ণয় করা হয়।
তলপেটে ব্যথার সাধারণ কারণ:
- পাকস্থলীর সমস্যা: অ্যাসিডিটি, গ্যাস, পেপটিক আলসার ইত্যাদি পাকস্থলীর সমস্যা তলপেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
- অন্ত্রের সমস্যা: কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (IBS), অ্যাপেন্ডিসাইটিস ইত্যাদি অন্ত্রের সমস্যা তলপেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
- মূত্রথলীর সমস্যা: মূত্রথলিতে সংক্রমণ, মূত্রনালীর পাথর ইত্যাদি মূত্রথলীর সমস্যা তলপেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
- স্ত্রীদের ক্ষেত্রে: মাসিকের সময় ব্যথা, ডিম্বাশয়ে সমস্যা, এন্ডোমেট্রিওসিস ইত্যাদি স্ত্রীদের ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
- অন্যান্য কারণ: খাদ্য বিষক্রিয়া, ফুড পয়জনিং, কিডনি স্টোন, পেটে আঘাত, গ্যাস, কোনো অঙ্গের সংক্রমণ ইত্যাদিও তলপেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
তলপেটে ব্যথার লক্ষণ:
- তীব্র বা হালকা ব্যথা
- ধ্রুবক বা পর্যায়ক্রমে ব্যথা
- পেট ফোলা
- বমি বমি ভাব
- বমি
- ডায়রিয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- জ্বর
- শীত কাঁপুনি
- রক্তাক্ত বমি বা মল
- প্রস্রাবে সমস্যা
- ওজন কমে যাওয়া
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:
- যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং কয়েক ঘন্টা ধরে থাকে।
- যদি ব্যথার সাথে জ্বর, বমি, রক্তাক্ত মল বা প্রস্রাব, অথবা ওজন কমে যাওয়া থাকে।
- যদি ব্যথা খাওয়ার পর বা শারীরিক পরিশ্রম করার পর বাড়ে।
- যদি ব্যথার সাথে অন্য কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয়।
ডাক্তার কী করবেন:
- আপনার চিকিৎসা ইতিহাস এবং লক্ষণ সম্পর্কে জানবেন।
- শারীরিক পরীক্ষা করবেন।
- প্রয়োজনে বিভিন্ন পরীক্ষা নির্দেশ করবেন, যেমন রক্ত পরীক্ষা, মল পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড, ইএমআই ইত্যাদি।
- পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ণয় করবেন এবং চিকিৎসা দেবেন।
ঘরোয়া প্রতিকার:
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- হালকা খাবার খান।
- মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- গরম পানি দিয়ে কম্প্রেস করুন।
- বিশ্রাম নিন।
মনে রাখবেন: তলপেটে ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে। নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।