কৃমির (প্যারাসাইটিক ওয়ার্ম) ওষুধ সাধারণত কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে খাওয়া উচিত। নিচে কৃমির ওষুধ খাওয়ার সঠিক সময় এবং পরামর্শ উল্লেখ করা হলো:
কৃমির ওষুধ খাওয়ার সময়
- লক্ষণ অনুযায়ী:
- যদি আপনার শরীরে কৃমির উপস্থিতির লক্ষণ যেমন পেট ব্যথা, অস্বাভাবিক পেটফাঁপা, ক্ষুধামন্দা, মলদ্বারে চুলকানি, বা থকথকে পেটের সমস্যা থাকে, তাহলে কৃমির ওষুধ খাওয়া উচিত।
- বাচ্চাদের ক্ষেত্রে:
- শিশুদের মধ্যে কৃমি একটি সাধারণ সমস্যা। সাধারণত ২-৩ মাস অন্তর বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ দেওয়া উচিত, বিশেষ করে ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য।
- বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নীতিমালা:
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি সাধারণভাবে বছরে একবার বা দুটি বার কৃমির ওষুধ খাওয়ার সুপারিশ করে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে যেখানে কৃমির সমস্যা বেশি।
- ডাক্তারের পরামর্শ:
- কৃমির সংক্রমণ শনাক্ত হলে ডাক্তার ওষুধ খাওয়ার সময় এবং ডোজ নির্ধারণ করতে পারেন। তাদের নির্দেশনা মেনে চলা সর্বদা ভালো।
প্রাথমিক ওষুধের নাম
কিছু সাধারণ কৃমির ওষুধ হলো:
- অ্যালবেন্ডাজল (Albendazole)
- মেবেনডাজল (Mebendazole)
- পাইরেন্টেল পামোয়েট (Pyrantel Pamoate)
সতর্কতা
- কৃমির ওষুধ গ্রহণের পর যদি লক্ষণ বৃদ্ধি পায় বা নতুন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
উপসংহার
আপনার শরীরে কৃমির উপস্থিতির লক্ষণ থাকলে ওষুধ খাওয়া উচিত, তবে সর্বদা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করা ভালো।