শুক্রবারে নফল রোজা রাখা সম্পর্কে কোন নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা ইসলামে নেই।
অর্থাৎ, শুক্রবারে নফল রোজা রাখতে কোনো সমস্যা নেই।
তবে, ইসলামে কিছু নির্দিষ্ট দিনে রোজা রাখা নিষেধ, যেমন:
- ঈদের দিন: ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা দিনে রোজা রাখা নিষেধ।
- কুরবানির দিন: কুরবানির দিন রোজা রাখা মাকরুহ।
- আশুরা: মুহররম মাসের দশম তারিখ আশুরা। এই দিনে রোজা রাখা সুন্নত, তবে নওরোজের দিন রোজা রাখা মাকরুহ।
- শবে বরাত: শবে বরাতের রাতে রোজা রাখা মাকরুহ।
নফল রোজা রাখার ফজিলত:
নফল রোজা রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন: নফল রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।
- গুনাহ মাফ: নফল রোজা রাখলে অনেক গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
- জান্নাতের নিকটবর্তী হওয়া: নফল রোজা রাখলে জান্নাতের নিকটবর্তী হওয়া যায়।
- শরীর সুস্থ রাখা: নফল রোজা রাখলে শরীর সুস্থ থাকে।
তবে, রোজা রাখার আগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা জরুরি:
- শারীরিক অবস্থা: যদি কারো শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়, তাহলে তাকে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকা উচিত।
- চিকিৎসা: যদি কেউ কোনো রোগে আক্রান্ত হয় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোজা না রাখার জন্য বলা হয়, তাহলে তাকে রোজা না রাখা উচিত।
- যাত্রা: যাত্রা করার সময় রোজা ভাঙা জায়েজ।
উপসংহার:
শুক্রবারে নফল রোজা রাখতে কোনো সমস্যা নেই। তবে, রোজা রাখার আগে নিজের শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ বিবেচনা করা জরুরি।