শেখ হাসিনার নৃশংস স্বৈরশাসনের সময় পুলিশ একটি বাধ্য দানব সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আসলে ১৫ বছর আগেও যে তারা কোন দিক দিয়ে ভালো ছিলো তাও না, কিন্তু বিগত বছর গুলোতে তারা সরকারের মদদে পুরো দস্তুর দানবে পরিনত হয়েছে।
এমনকি হিটলারের গেস্টাপোতেও ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ ছিল, কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশ সম্পূর্ণরূপে আদর্শ ও নৈতিকতাবিহীন একটি বাহিনী।
এবং হাসিনা চলে যাওয়ার পরেও, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নির্মমভাবে লাঞ্ছিত করেছে, বুট দিয়ে তাদের মুখে লাথি মেরেছে। এটা মূলত একটি জিনিস প্রমাণ করে, কোটা আন্দোলনের সময় তারা যে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল, তা তাদের পরিবর্তন করেনি।
আর পরিবরতন করার কথাও নয়, কারন পুলিশের নিরযাতন আর অত্যাচার বন্ধে কি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? পুলিশের অন্যায়ভাবে করা মামলা হামলা ও হুমকি বন্ধ জনগনের যাবার কোন জায়গা আছে?
নেই।
তাই, ভবিষ্যতে আবারও হয়তোবা এই পুলিশ গনহামলার শিকার হবে। পুলিশ ভালো হয়নি, হবার তেমন কোন লক্ষন নেই। পুলিশ বাহিনিগুলোতে বেছে বেছে দুরব্রিত্ত, চরিত্রহীন লম্পট আর অমানূষ ঢূকানো হয়। আর কোন ধরনের নিয়ন্ত্রনের অভাবে এরা যা খুশি তাই করে বেড়ায়। আওয়ামিলীগের আমলে বিএনপিকে পিটায়, বিএনপির আমলে আওয়ামিলীগ পিটায়। আর যে ক্ষমতায় থাকে সে তো খুশিতে লাফায় যে পুলিশ তার শত্রুদের ডান্ডা দিচ্ছে, একবারও ভাবেনা ডাণ্ডার লক্ষ্য পরিবরতন হতেও সময় লাগেনা।
যেহেতু পুলিশ দুর্নীতি, অন্যায় ও অবিচার বন্ধের জন্য কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তাও কারও মাথায় নেই, জনগনের বিচার পাবার পথ রয়ে যায় সেই একটাই, আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হতে হতে, একসময় অভ্যুত্থানে সব পুলিশ, বিজিবি আর রব জয়বাংলা করে দেয়া, তাদের দানবীয় আস্তানাগুলো পুড়িয়ে ছাড়খার করে দেয়া। এগুলো বন্ধের উপায় ছিলো পুলিশের নিজেদের করা অপরাধ বন্ধ করা এবং দুর্নীতিবাজ পুলিশের বিচার নিশ্চিত করা। সেটা করার জন্য কোন সরকার কখনোই কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
বরতমান ড ইউনুসের সরকারেরও তেমন কোন সদিচ্ছা এ ব্যপারে দেখা যাচ্ছেন। মূলত পুরো জাতি একটা বিস্মরনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সবাই একে ওকে দুষছে, আবার ভারতের দালালে পূর্ণ দেশ নিয়ে মানূষ খুবই অস্থির অবস্থায় আছে। আর এত হাংগামার মধ্যে তাদের উপর কারা গুলি চালিয়েছিল সেটাই বিস্মরন হয়ে গিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। হাসিনা কিংবা ওবায়দুল কাদের কিন্তু রাস্তায় নেমে গুলি চালায়নি, তারা শুধু আদেশ দিয়েছে, কিন্তু আদেশটা বাস্তবায়ন কিন্তু কোন সৎ ভালো মানুষে করেনি।
কারন, এখন পরযন্ত যারা গুলি চালিয়েছে তাদের ধরার কোন পদ্দক্ষেপ বা সেটা নিয়ে দাবী তোলার কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা। একই সাথে ভারতের আগ্রাসনে পুরো ব্যপারটাই ধামাচাপা পরে যাবার জোগাড় হয়েছে। একজন বাকপটূ পুলিশকে নতুন ডায়রেক্টর বানিয়ে মিস্টি মিস্টি কথা বলানো হচ্ছে আর সেই পুরোন বট বাহিনি তাতে মুগ্ধ ভাব নিয়ে কমেন্ট দিচ্ছে অনবরত।