সিসি ক্যামেরা

১৯৮৪, জর্জ অরওয়েলের উপন্যাস! ক্লাসিক ডিস্টোপিয়ান উপন্যাস। আজকে বইটি রিভিও করবো না। কারন এই বই নিয়ে কিছু বলার পরিবেশ নেই এখন। আজকে কথা হবে বাজারে বৈষম্যবাদী সিসি ক্যামেরা নিয়ে। যদিও সিসি ক্যামেরার কদর খুব বেশি। আনাচে কানাচে কান পেতে থাকা ক্যামেরাগুলি যেন প্রতিবেশী হয়ে আছে আমাদের।যেন পাহারা দিচ্ছে নিরলস ভাবে।  কিন্তু এই নিরলস পরিশ্রম যেন লোক দেখানো! কাজের সময় তারা বাস করে স্বপ্নের জগতে।

যখন সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় চলে, ঘুপটি মেরে ব্লার করে দেয় নিজেদের কাঁচকে। দেখেও না দেখার ভান। আর তা না করলে, বলে দেয় ব্যাটারিতে চার্জ ছিল না। আবার মাঝে মাঝে দেখা যায় তারা খুব প্রাণবন্ত। মনে হয়, হাজার মেগাওয়াটের পাওয়ারের সম্পদ আছে তাদের। পুরুষত্ব যেন উপচে পরে তখন। কাঁচ আর ব্লারি হয় না। নজর যেন অ্যামেরিকান বাজপাখির মত। চৌকশ, দীপ্ততার ছড়াছড়ি। জুম করে ধরে ফেলে বিন্দু থেকে বিন্দু।

গভীরতার সীমা যেন তখনই আদর্শ হয়। নিরীহ মানুষের সামান্য ভুলও যেন বিষফোঁড়া হয়ে উঠে। সঙ্গে সঙ্গে চলে নিজের স্রিতিতে জায়গা। আর অপ্রয়োজনীয়তার যে সীমা নেই। দরকার ছাড়া পাগলের নৃত্য রেকর্ড করে জায়গা ভর্তি করে রাখা সিসি ক্যামেরাগুলীর নতুন কোন চাল কিনা কে জানে! কেন দায় জ্ঞানহীন তারা? হয়তো সস্তা পার্টস আর নয়তো কাঁচা কারিগরের হাতে বানানো।

About Mahmud

Check Also

মেহের আফরোজ শাওন এইটাকে যেখানে পাবেন জুতাপেটা করবেন

8

Leave a Reply